শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:১৩ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক : মিয়ানমার অভ্যন্তরে চলমান সংঘাতের কারণে এপারের সীমান্তবর্তী মানুষের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। যদিও বৃহস্পতিবার দিনগত রাত ৯ টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত উখিয়ার পালংখালী সীমান্তে দুই ঘন্টা ব্যাপী গোলাগুলি শব্দ শোনা গেলেও ঘুমধুম-টেকনাফ সীমান্তে কোন ধরনের শব্দ শোনা যায়নি।
তবে গত কয়েকদিন ধরে দিনে-রাতে ঘুমধুম, উখিয়া ও টেকনাফ সীমান্তের ওপারে গোলাগুলির শব্দ ও এপারে এসে গুলি ও মর্টারশেল এসে পড়লেও শুক্রবার সকাল থেকে উখিয়া, টেকনাফ সীমান্তে পরিস্থিতি ছিল স্বাভাবিক।
উখিয়ার পালংখালি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেন, পালংখালির আনজুমানপাড়া সীমান্তের কাছে মিয়ানমার ওপারে সেদেশের সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে চলমান গোলাগুলি’র ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে। বৃহস্পতিবার রাত ৯টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত টানা দুই ঘণ্টা ব্যাপী ব্যাপক গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। এতে স্থানীয় লোকজন নির্ঘুম রাত কাটান। তবে শুক্রবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনো ধরনের বোমা ও গুলির শব্দ শোনা যায়নি। তবে এ ব্যাপারে কোস্টগাড ও বিজিবিসহ স্থানীয় মানুষরা সর্তক রয়েছেন।
টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আহমদ আনোয়ারী ও হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী বলেন, বৃহস্পতিবার ও শ্রক্রবার টেকনাফ সীমান্তে কোনো ধরনের গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে না। তবে সীমান্তে লোকজন নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন।
টেকনাফ উপজেলা নিবার্হী কমকর্তা (ইউএনও) মো আদনান চৌধুরী বলেন, পাশ্ববর্তী রাস্ট্র মিয়ানমারের তাদের অভ্যন্তরীণ সমস্যা দেখা দিয়েছে র্দীঘদিন ধরে। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত টেকনাফ সীমান্তের কোথাও তেমন কোন গোলাগুলির শব্দে শুনতে পাওয়া যায়নি। সীমান্তের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এরপরও টেকনাফ সীমান্তে বিজিবি ও কোস্টগার্ডের টহল জোরদার করা হয়েছে।
এদিকে ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আজিজ জানান, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কোন শব্দ শুনা যায়নি।
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply